সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমজানে গরুর মাংসের দাম ৪৭৫ টাকা

রমজানে (২০১৭ সাল/হিজরি ১৪৩৮/বাংলা ১৪২৪)গরুর মাংসের দাম ৪৭৫ টাকা:
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে রমজানে রাজধানীতে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ( ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,কেউ অতিরিক্ত দাম রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দেশি গরুর মাংস প্রতিকেজির দাম ঠিক করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা।এ ছাড়া ভারতীয় গরু ৪৪০ টাকা,মহিষের ৪৪০ টাকা,খাসির ৭২৫ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস প্রতিকেজি ৬২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।গত মঙ্গলবার মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেয়র সাঈদ খোকনের মতবিনিময় সভায় এই নির্ধারণ করা হয়।
গত বছর রোজায় গরুর মাংস ৪২০, মহিষ ৪০০,খাসি ৫৭০,ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৪৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিটি করপোরেশন।রমজানে জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন,২৬ রোজা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় এই দামে মাংস বিক্রি করতে হবে।
তিনি বলেন,সভায় সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সবাইকে দাম মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।আমাদের একটি মনিটর টিম সব সময় কাজ করবে।কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
শুধু কাঁচাবাজারের মাংসের দোকানে নয়,ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ মাংস বিক্রি করে এমন সব দোকানের জন্যও এই দাম প্রযোজ্য হবে বলে জানান মেয়র।
মাংসের এই দাম রোজার পরও ঠিক রাখার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন,রোজার পর বড়জোর ৫-১০ 'এদিক-সেদিক হতে পারে।তিনি বলেন,রোজায় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন তারা।
ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল,প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.শেখ সালাহউদ্দিন,মহানগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মতবিনিময় সভায় মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম অভিযোগ করে বলেন,গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারদের অত্যাচারে ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ জানানোর পরও ডারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন,আমরা যে গরু ১০ হাজার টাকায় কিনি তাতে চাঁদাবাজি হয় ৬২ হাজার টাকা।গর প্রধান কারণ,পথে পথে চাঁদাবাজি এবং হাট ইজারাদারের খামখেয়ালিপনা।
ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)কিছু কর্মকর্তা অনিয়মের কারণে আমরা সাধারণ মানুষকে কম দামে মাংস খাওয়াতে পারি না বলেও দাবি করেন রবিউল। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আসার পর থেকে সেখানে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সবাইকে ধন্যবাদ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ;

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি: পটকা মাছের বিষাক্ততা স্থান, সময় ও প্রজাতি ভেদে ভিন্নতর হয়।সামুদ্রিক পটকা মাছের বিষ TTX(Tetrodotoxin)নামে পরিচিত। মিঠাপানির পটকার বিষ paralytic shellfish poison (PSP)নামে পরিচিত। পটকা মাছে সারা বছর একই মাত্রায় বিষ থাকে না। তাই অপেক্ষাকৃত সময়ে পটকা মাছ খেয়ে কারো কোনরুপ দূঘটনা না ঘটে থাকলে অজ্ঞাতাবশত: অধিক বিষধারণকৃত সময়ে পটকা খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।পটকা মাছের ডিম্বাশয়,চর্ম ও যকৃতে বিষের মাত্রা সর্বাদিক।মাংশপেশীতেও কম বেশী বিষ থাকে।বর্ষাকালে পটকা মাছ অধিকতর বিষাক্তা হয়।আমাদের মিটাপানিতে ২ প্রকার পটকা আছে।উভয় পটকা সারাবছরই কন বেশী বিষাক্ত।অধিকাংশ সামুদ্রিক পটকাতেও বিষ থাকে।মিঠা পানির পটকার বিষ (PSP) সামুদ্রিক পটকার বিষের (TTX)চেয়ে অধিক ত্রুিয়াশীল ও ক্ষতিকর।অনেকের ধারণা পটকা মাছ রান্না করলে এর বিষ থাকে না।এটা সম্পুর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।রান্নার পরও এদের বিষ থাকে।পটকা মাছ খেয়ে বিষে আক্রান্ত হলে প্রথমে মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ক্রমশ : শরীর অবশ হতে থাকে।এরুপ উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।অধিক পরিমাণে বিষাক্

পবিত্র শবে শবেবরাত (২০১৭/০৫/১১)

২০১৭/০৫/১১ তারিখ আজ দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত।পবিত্র এই রাতে মহানবী (সা.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন হযরত মুহম্মদ (সা.)এর নবুওয়ত লাভের দশম বছর অর্থাৎ ৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব দিনগত রাতে তিনি মেরাজ গমনের সুযোগ লাভ করেন। হিজরি ২৬ রজব দিবাগত রাত শবে মেরাজ উদযাপন করেন।ফার্সি ভাষায় শব এর অর্থ হচ্ছে রাত আর আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি বা ঊধর্বারেহন।অর্থাৎ রাতে ঊধর্ব জগতে আরোহন।ইসলামে এই রাতকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের পবিত্র রাত হিসাবে গন্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওত, জিকির-আজকার এবং কবরস্থানে গিয়ে জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন।অনেকে নফল রোজাও রাখেন।দা-সদকাও করেন। শরীয়তের পরিভাষায়, মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে 'হিসরা' এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে  আরশে আজিম সফরকে 'মেরাজ' বলা হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।