সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রডে ৯০০ টাকার মূসক হচ্ছে ৭,৫০০ টাকা।

রডে ৯০০ টাকার মূসক হচ্ছে ৭,৫০০ টা
কা:
(মূল্য সংযোজন কর (মূসক)১৫ শতাংশ বহাল থাকলে প্রতি টন রডের দাম বাড়বে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।অর্থাৎ প্রতি টন রডের দাম বর্তমানে যেখানে ৫০ হাজার টাকা,আগামী ১ জুলাইয়ের পর তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল বুধবার স্টিল ও অটো-রিরোলিং খাতের তিন সমিতির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে এমন দাবিকরা হয়েছে।সমিতিগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সমিতিগুলো বলেছে,প্রতি টন রডে বর্তমানে মূসক দিতে হয় ৯০০ টাকা।এক লাফে তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।এতে একদিকে সরকারি-বেসরকারি সব অবকাঠামো নির্মাণেরই ব্যয় বেড়ে যাবে,অন্যদিকে বিলম্বিত হবে দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)বাস্তবায়ন।তাই অন্তত আগামীনির্বাচনের আগে রডের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো উদ্যোগ নেওয়া সরকারের ঠিক হবে না। ক্রয় পর্যায়ে রডের কাঁচামালে কোনো মূসক না রাখা এবং বিক্রি পর্যায়ে এম এস রড, এম এস বিলেট,ইত্যাদিতে ৩ থেকে ৫ শতাংশ মূসক নিধারণের দাবি জানিয়েছে সমিতিগুলো। ক্রয় পর্যায়ে বর্তমানেও কোনো মূসক নেই।বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন,মাঝে মাঝে সরকারকে জনগণের কথা শুনতে হবে।আবার জনগণকেও শুনতে হবে সরকারের কথা।সামনে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনেক পথ বাকি।কিন্তু এই সময়ে এসে ১৫ শতাংশ  মূসক আরোপে গোটা খাতের জন্যই খারাপ হবে।এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব থেকে আমরা মুক্তি চাই।বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মহাবুবুর রশিদ বলেন,রডে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপে করলে স্টিল শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে,ব্যাহত হবে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও আবাসন নির্মাণ।রডের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাবে। এ ছাড়া দেশের অবকাঠামো নির্মাণের চলমান প্রকল্প বা চুক্তি ব্যয়ও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ অটো রি-রোলিংঅ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আবাসন খাত এননিতেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে।বাড়তি মূসকে আবাসন খাতেরই সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে।শহীদুল্লাহ আরও বলেন,ইস্পাত শিল্প খাতে মূসক বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম।বড়জোর তা বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা যেতে পারে।কিন্তু ৫ শতাংশের বেশী কোনোভাবেই নয়।কিন্তু ১৫ শতাংশ মূসক হবে পুরো খাতের জন্যই বড় বোঝা।সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম বলেন,কিছু লোক সরকারের শীর্ষমহলকেভুল বুঝিয়ে আবাসন,ইস্পাতসহ অবকাঠামো খাতের ক্ষতি করার চেস্টায় লিপ্ত।কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মহাসচিব হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া বলেন,১৫  শতাংশ মূসক চাপিয়ে দেবেন কেন? মূসল আমরা দেব কিন্তু  তা সহনশীল তার মধ্যে রাখতে হবে।অনুরোধ থাকবে আগামী নির্বাচনের আগে সরকার নতুন হারে মূসক আরোপ করবে না।তিনি আরও বলেন,যদি মারতেই থাকেন,মারতেই থাকেন,মরে যাবো তো।তখন কিন্তু অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী কেউই বাঁচতে পারবেন না।
মূসক দেবেন ভোক্তা,ব্যবসায়ীরাশুধু আদায় করে দেবেন,তাহলে সমস্যা কোথায় -এমন প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন বলেন,ভোক্তাদের হয়েই কথা বলছি।কারন,আমরা জানি ভোক্তাদের ভোগের সীমাটা কত দূর পর্যন্ত আছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ;

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি: পটকা মাছের বিষাক্ততা স্থান, সময় ও প্রজাতি ভেদে ভিন্নতর হয়।সামুদ্রিক পটকা মাছের বিষ TTX(Tetrodotoxin)নামে পরিচিত। মিঠাপানির পটকার বিষ paralytic shellfish poison (PSP)নামে পরিচিত। পটকা মাছে সারা বছর একই মাত্রায় বিষ থাকে না। তাই অপেক্ষাকৃত সময়ে পটকা মাছ খেয়ে কারো কোনরুপ দূঘটনা না ঘটে থাকলে অজ্ঞাতাবশত: অধিক বিষধারণকৃত সময়ে পটকা খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।পটকা মাছের ডিম্বাশয়,চর্ম ও যকৃতে বিষের মাত্রা সর্বাদিক।মাংশপেশীতেও কম বেশী বিষ থাকে।বর্ষাকালে পটকা মাছ অধিকতর বিষাক্তা হয়।আমাদের মিটাপানিতে ২ প্রকার পটকা আছে।উভয় পটকা সারাবছরই কন বেশী বিষাক্ত।অধিকাংশ সামুদ্রিক পটকাতেও বিষ থাকে।মিঠা পানির পটকার বিষ (PSP) সামুদ্রিক পটকার বিষের (TTX)চেয়ে অধিক ত্রুিয়াশীল ও ক্ষতিকর।অনেকের ধারণা পটকা মাছ রান্না করলে এর বিষ থাকে না।এটা সম্পুর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।রান্নার পরও এদের বিষ থাকে।পটকা মাছ খেয়ে বিষে আক্রান্ত হলে প্রথমে মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ক্রমশ : শরীর অবশ হতে থাকে।এরুপ উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।অধিক পরিমাণে বিষাক্

পবিত্র শবে শবেবরাত (২০১৭/০৫/১১)

২০১৭/০৫/১১ তারিখ আজ দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত।পবিত্র এই রাতে মহানবী (সা.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন হযরত মুহম্মদ (সা.)এর নবুওয়ত লাভের দশম বছর অর্থাৎ ৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব দিনগত রাতে তিনি মেরাজ গমনের সুযোগ লাভ করেন। হিজরি ২৬ রজব দিবাগত রাত শবে মেরাজ উদযাপন করেন।ফার্সি ভাষায় শব এর অর্থ হচ্ছে রাত আর আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি বা ঊধর্বারেহন।অর্থাৎ রাতে ঊধর্ব জগতে আরোহন।ইসলামে এই রাতকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের পবিত্র রাত হিসাবে গন্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওত, জিকির-আজকার এবং কবরস্থানে গিয়ে জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন।অনেকে নফল রোজাও রাখেন।দা-সদকাও করেন। শরীয়তের পরিভাষায়, মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে 'হিসরা' এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে  আরশে আজিম সফরকে 'মেরাজ' বলা হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।