সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আইওএস ১১-এর কয়েকটি সুবিধা:

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চলছে অ্যাপলের পাঁচ দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস (ডব্লিউডব্লিউডিসি)সম্মেলন। গত সোমবার শুরু হওয়া এ সম্মেলেন শেষ হবে আগামী শুরুবার। সম্মেলনের প্রথম দিনেই ঘোষণা করা হয়, আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করা হবে আইফোনের নতুন ওএস সংস্করণ আইওএস ১১।বহুপ্রতীক্ষিত হালনাগাদগুলোর মধ্যে এবারের ডব্লিউডব্লিউডিসি ২০১৭-এর অন্যতমটি হলো আইওএস ১১।সম্মেলনে অ্যাপলের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক আইওএস ১১-এর বেশ কিছু সুবিধা নিয়ে কথা বলেন।হালনাগাদ করা অ্যাপলের এই সংস্করণের কয়েকটি সুবিধার কথা থাকছে এখানে:
সাজানো যাবে নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র:
আইফোন ব্যবহারকারীদের বহু পরিচিত কন্ট্রোল সেন্টার বা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র পরিবর্তন করার সুবিধা থাকছে নতুন আইওএস ১১ সংস্করণে।নির্ধারিত বিভিন্ন অ্যাপ ও সেটিংসের শর্টকাটকে ইচ্ছানুযায়ী সাজানো যাবে আইফোনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।

মুছে যাবে অব্যবহৃত অ্যাপ:
ব্যবহার হয় না এমন অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মুছে যাবে আইওএস ১১ সংস্করণে।'অফলোড অ্যানইউজড অ্যাপস' নামের নতুন এক পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যাপসের কার্যবিধি নজরে রাখবে আইফোন।এতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়া অ্যাপের তথ্য সংরক্ষণ করেই অ্যাপটি মুছে ফেলা হবে।
একসঙ্গে সাজানো যাবে একাধিক অ্যাপ:
আইওএস ১১-এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে, মূল পাতায় থাকা একাধিক অ্যাপকে একসঙ্গে সরানো বা সাজানো যাবে।
কিউআর কোড দেখা যাবে ক্যামেরাতেই:
আইফোন ব্যবহারকারীদের কিউআর কোড স্ক্যান করতে এখন আর তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে না।আইওএস ১১ সংস্করণে আইফোনের নিজস্ব ক্যামেরাকেই কিউআর কোড স্ক্যান করার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
নেটওয়ার্ক চিহ্নে পরিবর্তন এসেছে:
হ্যা,ডট আকারের সেই চিরচেনা আইফোনের নেটওয়ার্ক সংকেতের চিহ্নকে চিরাচরিত নেটওয়ার্ক 'সিগন্যাল' চিহ্নে পরিবর্তন করা হয়েছে আইওএস ১১ সংস্করণে।
এক হাতেই লেখা যাবে :
অ্যাপল অনেক দিন ধরেই বড় পর্দার আইফোন তৈরী করে আসছে।তবে বড় পর্দা হলেও অনেক সুবিধার ভিড়ে একটা ঝামেলা তো রয়েই গেছে।আর তা হলো এই বড় পর্দার আইফোনগুলোতে লিখতে গিয়ে দুই হাতেরই প্রয়োজন পড়ে।তবে এবারের আইওএস ১১ সংস্করণে সেই বিপত্তির অবসান ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে এক হাতে কিবোর্ড ব্যবহারের সুবিধা।
এ ছাড়া সংরক্ষণ পরামর্শ পদ্ধতি,নতুন অ্যাপ স্টোর,ব্যাটারির 'লো পাওয়ার মোড' -এর শর্টকাটসহ নানা সুবিধা থাকছে আইওএস ১১-এ।
সবাইকে ধন্যবাদ।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি ;

পটকা মাছের বিষাক্ততা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি: পটকা মাছের বিষাক্ততা স্থান, সময় ও প্রজাতি ভেদে ভিন্নতর হয়।সামুদ্রিক পটকা মাছের বিষ TTX(Tetrodotoxin)নামে পরিচিত। মিঠাপানির পটকার বিষ paralytic shellfish poison (PSP)নামে পরিচিত। পটকা মাছে সারা বছর একই মাত্রায় বিষ থাকে না। তাই অপেক্ষাকৃত সময়ে পটকা মাছ খেয়ে কারো কোনরুপ দূঘটনা না ঘটে থাকলে অজ্ঞাতাবশত: অধিক বিষধারণকৃত সময়ে পটকা খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।পটকা মাছের ডিম্বাশয়,চর্ম ও যকৃতে বিষের মাত্রা সর্বাদিক।মাংশপেশীতেও কম বেশী বিষ থাকে।বর্ষাকালে পটকা মাছ অধিকতর বিষাক্তা হয়।আমাদের মিটাপানিতে ২ প্রকার পটকা আছে।উভয় পটকা সারাবছরই কন বেশী বিষাক্ত।অধিকাংশ সামুদ্রিক পটকাতেও বিষ থাকে।মিঠা পানির পটকার বিষ (PSP) সামুদ্রিক পটকার বিষের (TTX)চেয়ে অধিক ত্রুিয়াশীল ও ক্ষতিকর।অনেকের ধারণা পটকা মাছ রান্না করলে এর বিষ থাকে না।এটা সম্পুর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।রান্নার পরও এদের বিষ থাকে।পটকা মাছ খেয়ে বিষে আক্রান্ত হলে প্রথমে মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ক্রমশ : শরীর অবশ হতে থাকে।এরুপ উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।অধিক পরিমাণে বিষাক্

পবিত্র শবে শবেবরাত (২০১৭/০৫/১১)

২০১৭/০৫/১১ তারিখ আজ দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত।পবিত্র এই রাতে মহানবী (সা.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন হযরত মুহম্মদ (সা.)এর নবুওয়ত লাভের দশম বছর অর্থাৎ ৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব দিনগত রাতে তিনি মেরাজ গমনের সুযোগ লাভ করেন। হিজরি ২৬ রজব দিবাগত রাত শবে মেরাজ উদযাপন করেন।ফার্সি ভাষায় শব এর অর্থ হচ্ছে রাত আর আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি বা ঊধর্বারেহন।অর্থাৎ রাতে ঊধর্ব জগতে আরোহন।ইসলামে এই রাতকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের পবিত্র রাত হিসাবে গন্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন তিলাওত, জিকির-আজকার এবং কবরস্থানে গিয়ে জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন।অনেকে নফল রোজাও রাখেন।দা-সদকাও করেন। শরীয়তের পরিভাষায়, মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে 'হিসরা' এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে  আরশে আজিম সফরকে 'মেরাজ' বলা হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।